বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে গাজীপুর সিটি নির্বাচন। এরপর শুরু হয়েছে ভোট গণনা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৪২৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৮২ টি ভোটকেন্দ্রের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম পেয়েছেন ৬১৭৮৮ ভোট এবং বিএনপি প্রার্থী হাসান সরকার পেয়েছেন ৩৫৭৬৪ ভোট।
মঙ্গলবার (২৬ জুন) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। বিভিন্ন কারণে ৯টি কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছেন রিটার্নিং অফিসার। দিনের শুরুতে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। গাজীপুর মহানগরীর বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন দেখা যায়। নারী ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিকে, জাল ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে নগরীর কাসেমপুরে পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের বাগবাড়ী হাক্কানিয়া ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসায় দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। এছাড়া, ব্যালট পেপার সংকটের কারণে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কর্তৃপক্ষ।
আয়তনে দেশের সবচেয়ে বড় সিটি গাজীপুরে এবার মোট ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৬ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৫ জন ও নারী ভোটার ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন। এ সিটিতে এবার নতুন ভোটার এক লাখ ১১ হাজার। এছাড়া, শ্রমিক ভোটার দুই লাখের বেশি। সিটির ৫৭টি ওয়ার্ডের ৪২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৩৭টিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও ৮৮টিকে সাধারণ চিহ্নিত করা হয়।
এ নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং এবং পোলিং অফিসার (ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা) হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন ৮ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে প্রতি কেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ৪২৫ জন, প্রতিটি কক্ষে একজন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে ২ হাজার ৭৬১ জন এবং প্রতিটি কক্ষে দু’জন পোলিং অফিসার হিসেবে ৫ হাজার ৫২২ জন ছিলেন।